শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
‎রাষ্ট্রীয় শোক দিবসে পতাকা অর্ধনমিত না রাখায় ক্ষোভ সূচনা আইডিয়াল কিন্ডার গার্টেন-এঁর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত ১৫ বিজিবি’র বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় ইস্কাপ সিরাপ, গাঁজা এবং গরু আটক ভ্যানচালক শ্রমিক ইউনিয়নের কমিটি গঠন অনুষ্ঠিত ১৫ বিজিবি’র বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় জিরা, চিনি এবং গাঁজা জব্দ ‎লালমনিরহাট জেলার ৩টি সংসদীয় আসনের ৫টি মনোনয়নপত্র গ্রহণ জেলা কাব হলিডে-২০২৫ অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক অভিবাসী ও জাতীয় প্রবাসী দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত তামাকের আগ্রাসন বাড়ছে ক্যান্সারের ঝুঁকি ১৫ বিজিবি’র মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে গাঁজা এবং ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ ২জন আসামী আটক
লালমনিরহাটে ৬টি গ্রামের মানুষের ভরসা একটি বাঁশের সাকো

লালমনিরহাটে ৬টি গ্রামের মানুষের ভরসা একটি বাঁশের সাকো

আলোর মনি রিপোর্ট: অপেক্ষায় কেটেছে দীর্ঘ ৫০বছর; কেউ কথা রাখেনি। ধরলা নদীর ছড়ার ক্যানেলে সেতু হয়নি। সেতু না হওয়ার কষ্টে রয়েছেন ৬টি গ্রামের মানুষ। দুর্ভোগ সয়ে এলাকাবাসী বর্ষায় নৌকা আর শুস্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে এই নদ পারাপার হচ্ছেন। সেতু না হওয়ার কারণে এলাকার রাস্তাসহ অন্য কোনো উন্নয়নও তেমন হয়নি। এভাবেই অপেক্ষা করছেন লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের ভ্যাড়ভেড়ী চরের বাসিন্দারা। ধরলা নদীর তীরের কয়েক হাজার মানুষের দাবি ভ্যাড়ভেড়ী চর এলাকায় ধরলা নদীর ছড়ার ক্যানেলে একটি পাকা সেতু নির্মাণ।

 

সরেজমিন দেখা যায়, ধরলা নদীর ছড়ার ক্যানেলে খেয়া নৌকার পরিবর্তে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। উঁচু-নিচু হওয়ায় বয়স্ক মানুষ, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও রোগীদের দুর্ভোগের শেষ নেই। নিরুপায় হয়ে মানুষ ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার হচ্ছেন এই ওয়াপদা বাঁধের খাল।

 

ধরলা নদীর ছড়ার ক্যানেলে উত্তর পার্শ্বে বড়বাসুরিয়া, চর মেকলি, চর বুদারু গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, ধরলা নদীর ছড়ার ক্যানেলে সেতু না থাকায় তাদের গ্রামে পাকা সড়ক হয়নি। ক্যানেলটি খরস্রোতা হওয়ায় খেয়া নৌকায় পারাপার হতে সময় লাগে কয়েক মিনিট। ছেলে-মেয়েদের স্কুুল-কলেজে যাতায়াত, ফসল পরিবহনসহ উপজেলা সদরে যেতে হয় ধরলা নদীর ছড়ার ক্যানেল পার হয়ে। ভরা বর্ষায় খেয়া নৌকা এবং শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাঁকোয় পার হতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

 

ধরলা নদীর ছড়ার ক্যানেলে অধ্যুষিত এলাকাটি কৃষি প্রধান। ভ্যাড়ভেড়ী চর সংলগ্ন ঘাট/ সাকো হয়েই ধরলা নদীর ছড়ার ক্যানেলে উত্তর পাশের বড়বাসুরিয়া, চর মেকলি, চর বুদারু গ্রামের মানুষ, তাদের খেতের ফসল পারাপার এবং জেলা-উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করে থাকেন। তা ছাড়া দক্ষিণ পাশের কাইম বাঁসুরিয়া, একতার বাজার গ্রামের মানুষ ওই গ্রামগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ এবং ধরলা নদীর চরের ফসল নিয়ে আসে। সেতু না থাকায় মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

 

ভ্যাড়ভেড়ী চরের মানুষ বলেন, মহান স্বাধীনতার ৫০বছর পেরিয়ে গেলেও আমরা বর্ষা মৌসুমে খেয়া নৌকা ও শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করি। তবে এখানে একটি সেতু হলে আমাদের কষ্ট অনেক লাঘব হবে এবং মানুষ উন্নত জীবনযাপন করতে পারবেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone